চায়ের বাজারে অনাবৃষ্টির প্রভাব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৩, ৯:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: অনাবৃষ্টি আর খরার প্রভাব পড়েছে সিলেটের চায়ের বাজারে। কমেছে উৎপাদন, প্রভাব পড়েছে নিলামেও। এ বছরের তৃতীয় নিলামে চা বিক্রি হয়েছে ৪০ শতাংশ।বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ নিলাম বর্ষের তৃতীয় চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীমঙ্গলের পাঁচটি ব্রোকারস হাউস মিলিয়ে প্রায় ১৫/২০ জন বায়ার নিলামে অংশগ্রহণ করেন। নিলামে বায়ারদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। নিলামে ৭৪ হাজার ৬৮০ দশমিক ৪ কেজি চা পাতা নিলামে উঠে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০ টাকা। যার গড় মূল্য ছিল আনুমানিক প্রায় ২০০ টাকা।
এরআগে গত ২০২২-২৩ নিলাম বর্ষের দ্বিতীয় চা নিলামে ৬৮ হাজার ৭৭৮ দশমিক ৪৫ কেজি চা পাতা নিলামে উঠলেও বিক্রি হয় ২৫ হাজার ৪৫ দশমিক ৭৫ কেজি, যার মূল্য ৫৮ লাখ ৪ হাজার ৮৫৩ দশমিক ৭৫ টাকা। গড় বিক্রয় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৩১ দশমিক ৭৭ টাকা।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ বলেন, বুধবার প্রায় ৭৫ হাজার কেজির মতো চা অপারিং হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চায়ের কোয়ালিটি তেমন ভালো হয়নি। বায়াররাও অনেক কম আসছে। তাছাড়া চায়ের দাম পূর্বের তুলনায় অনেক কমছে। টাকার সংখ্যায় আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো চা অপারিং হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বুধবার দুপুরে জানান, চলতি মে মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চায়ের নতুন কুঁড়ি আসছে না। শুধু একবার বৃষ্টি হয়েছিল গত এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ। নতুন কুঁড়ি না আসায় চা উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। তাছাড়া চায়ের কোয়ালিটিও ভালো হচ্ছে না। বুধবার বৃষ্টি হয়েছে। আশাকরি এরকম কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে চায়ের নতুন কুঁড়ি আসবে, এবং চায়ের উৎপাদন ভালো হবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ড সুত্রে জানা যায়, ‘২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩টি চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৮টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৫টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহের মাঝে শুধুমাত্র বুধবার ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নিলামের মাধ্যমে চা ক্রয়বিক্রয় করা হবে।