বন্ধুকে অপহরণের পর হত্যা, মুক্তিপণ আদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৩, ১০:০৪:৪১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : নাটোরে রুবেল হোসেন নামের এক যুবককে অপহরণের পর হত্যা করে তারই দুই বন্ধু তারেক রহমান ও হৃদয় হোসেন। এরপর বন্ধুকে মাটিচাপা দিয়ে ঢাকায় গিয়ে বন্ধুর বাবার কাছে ফোন করে অপহরণের কথা বলে মুক্তিপণ আদায় করেন। এ ঘটনার ছয় মাস পর গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে নিহত রুবেলের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
এদিকেএ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বন্ধু তারেক ও হৃদয়কে ঢাকার দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের নাটোরে আনা হয়।
নিহত রুবেল হোসেন নাটোর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার রুপিজ উদ্দিনের ছেলে। আর গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় হোসেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং তারেক রহমান নাটোর সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাটোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, রুবেল হোসেন, তারেক রহমান এবং হৃদয় হোসেন তিনজন বন্ধু। গত বছরের ১১ নভেম্বর হৃদয় এবং তারেক মিলে রুবেলকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্য। পরে তাকে তারেকের রুয়েরভাগ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রুবেলকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর হত্যা করেন তারা।
পরে রুবেলের মরদেহ তারেকের বাড়ির পেছনে মাটিচাপা দিয়ে ঢাকায় চলে যান দুই বন্ধু। ঢাকায় গিয়ে রুবেলের বাবাকে মোবাইল ফোনে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। রুবেলের বাবা পর্যায়ক্রমে তাদের ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান।কিন্তু রুবেলকে ফিরিয়ে না দেওয়ায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রুবেলের বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন, বলেন ওসি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১০ মে গোয়েন্দা শাখা পুলিশ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ ঢাকার দক্ষিণখান থানায় অন্য একটি মামলায় ওই দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত তারেক এবং হৃদয়কে নাটোর থানার এ মামলায় নাটোরে নিয়ে আসে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্তাবাধনে তারেকের বাড়ির পেছন থেকে মাটিচাপা দেওয়া রুবেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান আব্দুল মতিন।