ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে আরো ৩৩
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৩, ৯:৩৫:২১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে দেশে নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৩৩ জন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। এদিকে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৩ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫৯ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, ডেঙ্গু রূপ বদলাচ্ছে বারবার। ২০১৯ সালে এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় বাংলাদেশে। সেই বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছিল মে মাসের শেষে। সেই প্রকোপ কমেছে পরের বছরের জানুয়ারিতে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ৫০ হাজারের বেশি রোগী পাওয়া যায় এবং ৯০ জন মৃত্যুবরণ করেন। পরের বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় অক্টোবর মাসে।
২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় এবং মৃত্যুবরণ করেন ৭ জন। করোনার কারণে এই বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কম দেখা দেয়।
২০২১ সালে আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় জুলাই মাসে। এই বছর ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী পাওয়া যায় এবং মারা যান ১০৫ জন।
২০২২ সালে ৬২ হাজার রোগী পাওয়া যায় দেশে, যেখানে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয় ২৮১ জন। মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেছেন, দেরী করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসায় এমনটি হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শহরে বেশি হলেও ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, রোগী বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বাইরেও। গেল বছর মোট ৬২ হাজার ৩৮২ ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগী ছিল ২৩ হাজার ১৬২ জন। এর বাইরে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৩৫২ জন।
চলতি বছরও ঢাকা শহরে রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে, পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যার ফলে ডেঙ্গুর মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে। সাধারণত সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার কথা থাকলেও গতবছর নভেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছে।