জগন্নাথপুরে শেষ সময়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৩, ৬:৪০:১৮ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: আগামীকাল ২৫ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীরা হলেন, আ.লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম (নৌকা), বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত আবদুল কাইয়ূম কামালী সিতু (খেজুর গাছ), জাতীয় পার্টি মনোনীত আতাউর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (কাপ পিরিছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন রশীদ (আনারস)।
শেষ সময়ে এসে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। চারদিকে শুরু হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ। নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। ভোটাররাও কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ।
মঙ্গলবার নির্বাচনী বিষয় নিয়ে ভোটাররা জানান, এবারের নির্বাচনে চারমুখি লড়াই হতে পারে। এর মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম। কারণ হিসেবে ভোটাররা বলেন, নুরুল ইসলাম এমনিতেই ব্যক্তি ও রাজনৈতিক ইমেজে এগিয়ে আছেন। তিনি একজন সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার উপর পেয়েছেন সরকার দলীয় প্রতীক নৌকা। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাও নৌকার বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ফলে নৌকার সহজ বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাথে রয়েছেন জমিয়ত প্রার্থী আবদুল কাইয়ূম কামালী সিতু। তিনি ব্যক্তি হিসেবে নতুনমুখ হলেও তাঁর পক্ষে খেজুর গাছ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীসহ জমিয়তের আলেম-উলামাগণ মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বিগত নির্বাচনে জমিয়তের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমকে নিয়ে নৌকার বিজয়ী প্রার্থী প্রয়াত আকমল হোসেনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন তাঁরা। যদিও এবার সৈয়দ তালহা আলম জমিয়ত ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাপ পিরিছ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন রশীদও মরণকামড় দিতে পারেন। তিনি এর আগেও উপজেলা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন ও চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই পরিচিতি ও অবস্থান থেকে তিনি এগিয়ে আছেন। তাঁর আনারস প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতের জন্য নীরব ভাবে কাজ করছেন কর্মী-সমর্থকরা।
যদিও নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী অংশ নেননি। তবে কোন দিকে যাচ্ছে তাদের সমর্থন। এ নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। কারণ এর আগে বিএনপির প্রার্থী আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাই বিএনপির শক্তিকেও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনী আলোচনায় ঘুরেফিরে চলে আসছে বিএনপির নাম।