নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন আনোয়ারুজ্জামান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৩, ৮:১৬:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের বলা হয়েছিল, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহন কিংবা জমাকালে কোনো ধরনের মহড়া বা ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী সঙ্গে নেয়া যাবেনা। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে শোডাউন করেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যান। এ সময় দলের ও অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত দেখা গেছে। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে যান। এই নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে ফিরে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের অনেককে।
এ সময় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিত সরকার, মহানগরী যুগ্ন সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তিনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি সিলেট জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও এক কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। অন্য যারা ছিলেন তারা কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তাদের সমর্থক।
প্রায় একই কথা বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদিরও। তিনি বলেন, আমরা প্রার্থীকে পাঁচজনের বেশি মানুষ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে বলে আসছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে যখন এসেছিলেন, সে সময় কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকেরাও উপস্থিত হয়েছিলেন।
এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ কুটু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে বলা হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় যেন পাঁচজনের বেশি লোক না থাকেন। তিনি নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এদিকে, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মহানগরীর সর্বস্তরের জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি, মানবসেবার জন্য রাজনীতি করি। আজ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিবেন।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরের অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সিলেটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নগরবাসীকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সবাই আমাকে সুযোগ দিলে বা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করলে অবশ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব দুর্ভোগ লাঘব করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সুরমা নদী ড্রেজিংয়ে প্রয়োজনীয় উগ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, মশার উপদ্রব রোধে প্রজনন কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা হবে এবং ময়লা আবর্জনা মুক্ত রাখা হবে। এ কাজে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।