সিলেটে এখনো কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ১২:২০:২৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ‘দাম না কমলে আমদানি করা হবে’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরও সিলেটের বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। সেইসঙ্গে কমেনি আলু, আদা ও চিনির দাম। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি, কাঁচামরিচসহ কিছু সবজির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, মাছ-মাংস ও তেল।
মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকা। যদিও শুক্রবার (১৯ মে) বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর সফরে বলেছিলেন, দাম না কমলে দু’একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
এদিকে কাঁচামরিচের ঝাল কিছুটা কমেছে। ১২০ টাকা থেকে কমে এখন ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৯০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা থেকে কমে ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৭০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের দাম বেড়ে ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে দাম ৫০-৮০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা এবং কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আদা ২৩০-২৪০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১০ টাকা কমে ১৪০-১৫০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ১৯০-২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, সাদা দেশি আলু ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দর বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, গত কিছুদিন সবজির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমছে না।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯০ টাকা এবং দুই লিটার ৩৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১২০-১৩০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২০০, কাতল ৩০০-৪০০ টাকা, শিং ৩০০-৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মদীনা মার্কেটে মুরগি কিনতে আসা গৃহিণী নাজমা বেগম বলেন, নিত্যপণ্যেও বাজার বেসামাল। একটার দাম একটু কমেতো আরেকটার দাম হু হু করে বাড়ে। এতে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কোনো লাভ হচ্ছে না। কেবল হা-হুতাশ করে কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।