বড়লেখায় কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ৭:১৭:০৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: জুড়ী টি.এন খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহমান তামবিরকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র তামবির মঙ্গলবার বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত আগামী ১৮ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের মাহবুবুর রহমানের পুত্র আব্দুর রহমান তামবির ১৩ মে এইচএসসি পরীক্ষার কাগজপত্র ফটোকপি করতে বাড়ী থেকে বের হয়ে দাসেরবাজারে যায়। ফটোকপি করে বাড়ি ফেরার সময় দাসেরবাজার গ্রামীণব্যাংকের সামনে পৌঁছামাত্র একই গ্রামের হক্কুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ (২২), আল আমিন (২০), মৃত হাছন রাজার ছেলে বদরুল ইসলাম (৫০) ও নুরুল ইসলাম (৫৫) তার পথরোধ করে এবং ঝাপটে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় গাড়ী থেকে নামিয়ে তামবিরের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ডান হাতে জখম হয়। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে নগদ টাকা ও একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশ এনে তামবিরকে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে ৫৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে তামবিরের বাবা মাহবুবুর রহমান তাকে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি হুমায়ুন রশিদ বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আগামী ১৮ জুলাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই মৌলভীবাজারকে আদেশ দিয়েছেন।