সক্রিয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ৮:১৭:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: দলীয়ভাবে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে এবার কাউন্সিলর পদেও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা। কিন্তু সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিষদে বেশ কয়েকজন নির্বাচিত দলীয় কাউন্সিলররা এই সিদ্ধান্ত এখনও মানেননি। তবে বিএনপি মনে করছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত তাদের সরে যাওয়ার সুযোগ আছে, এরপরও যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত না মনেন তবে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা অতীতে কখনও হয়নি।
বর্তমানে দলীয় কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬ জন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়। তারা মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। যে ৬জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সংরতি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর, সদ্য বিদায়ী সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রোকসানা বেগম শাহনাজ। এরমধ্যে রোকসানা বেগম শাহনাজ এবার সরাসরি ২৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ৪ নং ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েস লোদী ছাড়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন ইবনে রাজ্জাক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিনার খান, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মকসুদুল করিম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দণি সুরমা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. বজলুর রহমান, সংরতি ২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা দলের নেত্রী রেহানা ফারুক, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক শাহ মো. ফজলুল কাদির সিদ্দিকী, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইদুর এনাম চৌধুরী, যুবদল নেতা কাঁচা মিয়া, আবদুল মালেক ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শেখ লিমনুজ্জামান।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। আমরা আশাকরছি যারা সক্রিয় আছেন তারা ভোটের পরিবেশ এবং দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন থেকে সরে আসবেন। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক জনপ্রিয় এবং বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলররাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে তাদের ব্যাপারে কঠোর দলীয় সিদ্ধান্ত আসবে, যা আগে কখনও হয়নি।