জগন্নাথপুরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০২৩, ৯:০০:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের প্রবাসীবহুল জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসী মুহিত মিয়ার বসত বাড়ীতে দিন দুপুরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। প্রায় ঘন্টাব্যাপী তান্ডবলীলা চালিয়ে সীমানা প্রাচীরসহ বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রবাসীর বৃদ্ধা মা চাম্পা বেগম। গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রবাসী মুহিত মিয়ার মা চাম্পা বেগম দৈনিক জালালাবাদকে জানান, গত রোববার দুপুরে কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের একদল সন্ত্রাসী দিনে দুপুর অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মুহিত মিয়াকে খোঁজতে থাকে। কিন্ত মুহিত মিয়া লন্ডনে অবস্থান করছেন শুনে সন্ত্রাসীরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে মালামাল তছনছ করে। পরে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর চালায়। দেয়াল ভাঙার সরঞ্জাম দিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী তান্ডবলীলা চালিয়ে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় বাড়িতে থাকতে হলে তাদের চাহিদামতো টাকা পয়সা দিতে হবে অন্যথায় মুহিত মিয়া দেশে ফিরলে তাকে হত্যা করা হবে।
জানা গেছে, বাড়ির পুরুষ সদস্য দুই ভাই থাকেন প্রবাসে। বাড়িতে তাদের বৃদ্ধা মা, নারী ও শিশুরা রয়েছেন। এই সুযোগে একই এলাকার আজাদ মিয়া এবং তার সহযোগীরা টাকা না পেয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে বাড়ির সীমানা পাকা দেয়াল ভাঙচুর করেছে। এ সময় বাড়িতে থাকা নারী সদস্যরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। তবে হামলা ও ভাঙচুরের দৃশ্যটি মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হামলা ভাঙচুরের পর পুরুষশূন্য বাড়িতে লন্ডন প্রবাসী মুহিত মিয়ার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী মাহমুদা বেগম এবং কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বাড়িতে হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছেন। শনিবারের ঘটনায় আরো একটি মামলা করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।