সরকারি দামে মিলছে না চিনি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৩, ১২:২৫:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি সরকারিভাবে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সিলেটের কোনো দোকানেই এ দামে মিলছে না চিনি। প্রতিটি দোকানেই খোলা চিনি পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। অন্যদিকে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে মোড়কজাত চিনি।
খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও এর চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি অর্থাৎ ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে অনেকটা ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনির নতুন দাম বেঁধে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর মোড়কজাত চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর আগে মোড়কজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
নগরীর সুবিদবাজারে চিনি কিনতে আসা আব্দুল খালেক বলেন, ‘সরকার দর নির্ধারণ করে দিলেও আমরা বাজারে গিয়ে সে দামে চিনি পাচ্ছি না। প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও হয়ে গেছে। সরকার ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।’
আম্বরখানার এক মুদি দোকানী বলেন, মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে আমরা কোনো প্যাকেটজাত চিনি পাচ্ছি না। বিভিন্ন কোম্পানিকে ক্রয়াদেশ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্যাকেটজাত চিনি নেই বলে দাবি করছেন। বর্তমানে আমরা পাইকারী বাজারে শুধু খোলা চিনি পাচ্ছি, সেটিই বিক্রি করছি। তবে সরকার খোলা চিনির যে দাম বেঁধে দিয়েছে সে দামে আমরা চিনি পাচ্ছি না। প্রতি ৫০ কেজি চিনির বস্তা পাইকারী বাজারেই আমাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর আমরা ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
রিকাবি বাজারের খুচরা চিনি বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, চিনির যে দাম তাতে করে চিনি বিক্রি করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে ১২৮-১৩০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে আনছি। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আমরা ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মোঃ ফখরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।