সিলেটে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২৩, ৭:৫৭:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ১৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে সোমবার সিলেটে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সিলেট ‘পিসকিপারস রান’সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী। এছাড়াও সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অত্র ফরমেশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার বেলুন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, পঁয়ত্রিশ বছর ধরে শৃংখলা, সততা, সামরিক পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, আনুগত্য, সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং স্থানীয় জনগণের ভালবাসা ও আস্থা অর্জন, মানুষকে আপন করে নেওয়ার প্রবণতা এবং অভিজ্ঞতার বাস্তব প্রয়োগের ফলে আজ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আদর্শ হিসাবে স্বীকৃত। অনেক একাডেমিসিয়ানদের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তুও বটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘের মজ্জা বলে উল্লেখ করেছে।
তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দূরদর্শিতা, সংবিধানের দিক নির্দেশনা, রাষ্ট্রপতির অনুপ্রেরণা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্য সামরিক কমান্ডারদের নেতৃত্বের ফলে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ আমরা বিশ্বের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। দ্রুততম সময়ে শান্তিরক্ষী প্রেরণেও বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। উন্নত দেশের সেনাবাহিনী ও শান্তিরক্ষীদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশ সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে। এ কারণে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী দেশপ্রেম, উঁচু মনোবল ও বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখার প্রত্যয়ে বিরুপ পরিবেশ, শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।