সিলেটে এক বছরে বাক-শ্রবণ শক্তি ফিরে পেল ৩৭ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৩, ৯:৪৬:০৪ অপরাহ্ন
সিলেটে এক বছরে বাক ও শ্রবণ শক্তি ফিরে পেয়েছেন ৩৭ জন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি কর্মসূচির আওতায় অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। বুধবার নতুন এ কর্মসূচির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ইমপ্লান্টি সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর বাইরে প্রথমবারের মতো সিলেট ওসমানী হাসপাতালে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে জানিয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জন্মগতভাবে বধির ও বোবা শিশুদের পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়ে এলে চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব। তবে, সুস্থ কোনো মানুষ কোনো দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে শ্রবণশক্তি হারালে তাদের বয়স বেশি হলেও চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
তিনি আরও বলেন, শিশুরা জন্মের পর প্রথমদিকে কথা বলতে দেরি হলে অনেকে প্রথমদিকে গুরুত্ব দেন না। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি চিহ্নিত করা গেলে তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে। এতে শিশুটি পরিবারের জন্য বোঝা হবে না।’
ডা. নূরুল হুদা নাঈম জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ হওয়া শিশুরা সিলেট বিভাগ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। ঢাকার বাইরে প্রথম সিলেটে এ কর্মসূচি গ্রহণ করায় অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনও এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তবে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় একসঙ্গে বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসমানীর কর্মকর্তারা। সিলেটের সবশিশু যেন চিকিৎসার আওতায় আসে সেজন্য এ বিষয়টি সবাইকে জানাতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।
চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার আলিফা জান্নাত রাইসার বাবা জানান, তার মেয়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে তিন মাস আগে। বয়স তিন বছর। সে এখন কথা বলতে শিখছে। সরকারের এই চিকিৎসার সুযোগে তার মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠায় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিজ্ঞপ্তি