সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চা শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৩, ৭:৪৪:১৪ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবার চায়ের রাজ্যখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমকালো আয়োজনে ৩য় জাতীয় চা দিবস ২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকগণ কাজ করে চলেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চা শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
রোববার দুপুরে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও প্রথম জাতীয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে। ব্রিটিশদের পর ‘চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
বক্তব্য রাখেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান এবং সাধারণ চা শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল। অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ১ম জাতীয় চা পুরষ্কার-২০২৩ এ জন্য নির্বাচিত (৮টি ক্যাগিরি ) ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী। ক্রেষ্ট ও সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলেন, একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার মো: আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানী পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি ও শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী চট্টগ্রাম জেলার ফটিরছড়ি উপজেলার নেপচুন চা বাগানের উপলক্ষী ত্রিপুরা।