সিকৃবিতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০২৩, ৬:১২:১৬ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর ‘জোয়ার পরিবর্তনে স্পন্দন হারাচ্ছে সমুদ্র’ প্রতিপাদ্যে পালিত হলো দিনটি।
বৃহস্পতিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ঊপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ক্যাম্পাসে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি দুপুর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঊপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ড. পার্থ প্রতিম বর্মনের সঞ্চালনায় র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানবসৃষ্ট যতগুলো সমস্যা পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হতে পারে, তাদের মধ্যে সমুদ্র দূষণ অন্যতম। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে পতিত হয়। বর্তমানে সমুদ্রে যত প্লাস্টিক সরাসরি নিক্ষেপ করা হয় তার প্রায় পুরোটার জন্য দায়ী মাছ ধরার নৌকা ও জাহাজসমূহ। প্রতিবছর প্রায় ৭ লক্ষ টন প্লাস্টিকের জাল, দড়ি, ফাঁদ ও অন্যান্য মাছ ধরার সরঞ্জাম সমুদ্রে ফেলা হয় এগুলো থেকে। ফেলে দেওয়া নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভেসে বেড়ানো ঐসব মাছ ধরার সরঞ্জামের কারণে সমুদ্র দূষিত হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়। বিশ্বসমুদ্র দিবসে আমাদের সমুদ্র দূষনের লাগাম টেনে ধরার জন্য ব্যাপক প্রচারণা ও নানা ধরণের সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করা দরকার।
ঊপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা শামসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মোট সমুদ্রসীমার ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল অংশ বঙ্গোপসাগরে অধিকৃত। যা মায়ানমার ও ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধের পর এটলাস ও আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের রায়ের পর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। এত বিশাল পরিমাণ সমুদ্রসম্পদ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বিশাল সম্ভাবনার পথ দেখাচ্ছে। আর এই বিরাট সমুদ্রসীমাকে কাজে লাগানোর জন্য সমুদ্র গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনে প্রতিবছর ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে বছরই প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালনের বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বিজ্ঞপ্তি