স্মার্ট সিটির জন্য স্মার্ট নগরভবন জরুরী : আনোয়ারুজ্জামান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২৩, ৭:১৮:১৩ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মহানগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে আগামীর সিলেট নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক মতবিনিময় সভা। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল সিলেটের তরুণ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তারা।
সভায় উদ্যোক্তারা আগামীর সিলেট নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তা শোনেন এবং প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে তার বা সিটি করপোরেশনের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তরুণ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তারা শুরুতেই নগরভবন নিয়ে তাদের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড নগরভবন, জনশক্তিকে আরও দক্ষ করা, গ্রীণ ও স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কর্মীদের সেবা প্রদানের মানসিকতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একটি স্মার্ট সিটির জন্য অবশ্যই স্মার্ট নগরভবন জরুরী।
নগরীর পয়ো:নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতা দূর করার প্রস্তাবের ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পয়ো:নিষ্কাশন ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে পূর্বগবেষণামূলক স্যানিটেশন সলিউশনের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরী। আর জলাবদ্ধতা দূর করতে দখল হওয়া ছড়াগুলো উদ্ধার করে বৃষ্টির পানিপ্রবাহ অবাধ করতে হবে। এ সময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘবে এবং তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে ‘ওপেন হাউস ডে’ একটি চমৎকার উদ্যোগ হতে পারে। এটি খুবই কার্য্যকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্ন নগরী ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের ব্যাপারে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ, পরিকল্পিত গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু ও যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সুরমার নাব্যতা বৃদ্ধি ও অকাল বন্যা প্রতিরোধ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পুরনো কারগারের জায়গায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় উদ্যান ও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ও সবুজায়ন, নিরাপদ ও শান্তির নগরী গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি ও তদারকি, বিকল্প বিদ্যুতের জন্য সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন বা পৃথক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, মিউজিয়াম স্থাপন ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ, সুরমার তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, রাজধানীমুখী দ্রুতগামী ট্রেনের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, উদ্যোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নগরীর তারের জঞ্জাল পরিস্কার- ইত্যাদি দাবি উঠে তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে।
প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রশ্ন রাখেন তরুণ সমাজের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তারা। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও আলাদা আলাদাভাবে উত্তর দেয়ার পাশাপাশি নিজের চিন্তাভাবনাগুলোও তাদের জানিয়ে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ, উইমেন চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক স্থপতি রাজন দাশ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক সাহা, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ইমরান আহমদ, ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক ফরহাদ কোরেশি, ব্যাংকার রেজাউর রহমান, তারেক আহমদ চৌধুরী, কামরান আহমদ, ব্যবসায়ী সুমন ভট্টাচার্য্য, ক্যাটারিং ব্যবসায়ী শান্ত দেব, নির্মাতা উত্তম কুমার সিংহ। বিজ্ঞপ্তি