ওসমানীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২৩, ৯:১৯:৩৭ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়েছ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা।
জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়েছ আহমদ চৌধুরী মাসের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে জড়িত থাকেন। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তিনি প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে অশালীন আচরণ করে থাকেন। তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অশ্লীল গালিগালাজ করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের স্লিপের অর্থ, প্রাক প্রাথমিকের বরাদ্দ ও ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা প্রতিবাদ করলে তিনি প্রতিবাদকারীকে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সভাপতি রিতাব আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিদালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করেন। তাদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিজেকে শিক্ষক নেতা পরিচয় দিয়ে সপ্তাহের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। যখন উপস্থিত থাকেন তখন রাজনৈতিক মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিহাবুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক ব্লাংক ভাউচার এনে আমাকে দস্তখত দিতে চাপ প্রদান করেন। একাধিকবার বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে দস্তখত নিয়ে অর্থ উত্তোলন করেও কোন কাজ করাননি।
বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউর রহমান আলা বলেন, প্রধান শিক্ষক ওয়েছ আহমদ চৌধুরী বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন। তিনি ১৭ বছর ধরে একটানা এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন। নিজেকে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে প্রভাবিত করে বিদ্যালয় পরিচালনার নামে লুটপাট ও উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন।
ওসমানীনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা দিলিপময় দাশ চৌধুরী বলেন, স্থানীয় অভিভাবকবগণ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শুনেছি। উবর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওয়েছ আহমদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।