মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২৩, ৬:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী, সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
রোববার বিকেল ৩টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ লাঙ্গল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমার নির্বাচনী প্রতীক আমারই দলের প্রতীক লাঙ্গল। সুরমা নদীর ওপারে দক্ষিণ সুরমায় আমার জন্মভিটা। আমি একজন ব্যবসায়ী। এই নগরীর একজন নাগরিক হিসেবে এই নগরকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন, অনেক আকাঙ্খা-প্রত্যাশা রয়েছে। আমার এই জন্ম মাটি এখন মহানগর। আগে ছিল শহর, মানে পৌরসভা। সময়ের ব্যবধানে এই নগরের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি যেভাবে এই নগরকে একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তোলা যেত সেখানে ঘাটতি রয়ে গেছে। তাই আমি আমার নগরকে একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে আমার শ্রম, মেধা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে চাই। এই লক্ষ্য পূরণেই আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি। আমি আপনাদের সমর্থন চাই।’
এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ, সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুস শহিদ লস্কর বশিরসহ জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল সূচনা বক্তব্যে আরো বলেন, এই নির্বাচনে যারা ভোটার তাদের অনেকে আমার গুরুজন, অনেকে আমার ভাই-বন্ধু, অনেকে আমার সন্তানতুল্য। ভোটারদের একটি বড় অংশ তরুণ। এই তরুণ প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সঠিক চিন্তা-ভাবনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা আমাদের সমাজকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি পরিকল্পিত নগরের ক্যানভাস অনেক বড়। শুধু রাস্তাঘাট আর ড্রেন করলেই নগরটি পরিকল্পিত হয়ে উঠে না। সিলেট নগরের এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে। যানজট, জলাবদ্ধতা ছাড়াও অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সিটি করপোরেশনের আয়তন অনেক বেড়েছে। ২৭টি ওয়ার্ড থেকে হয়েছে ৪২টি ওয়ার্ড। বর্ধিত এলাকায় অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক পিছিয়ে রয়েছে নতুন এলাকাগুলো। সুতরাং এই নগরকে যে বা যারা ভালোভাবে জানে, বুঝে তাঁর হাতেই নগর উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ কেউ এই নগরের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। যে নগরের অলিগলিই চেনে না তার পক্ষে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ কতটুকু সম্ভব এই বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
তিনি বলেন, আমি এই শহরেরই সন্তান। সুরমার এপার-ওপার দুপারই আমার চেনা। এই নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমার পদচারণা রয়েছে। তাই নগরবাসীর কাছে আমার আহ্বান আপনারা যেন সবকিছু বিবেচনায় রেখে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন। আমার বিশ্বাস নগরবাসী অতীতের মতো সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন না। আপনারা জানেন, নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিদিন লংঘন করা হচ্ছে। এমনকি নানা কূটকৌশলের ছক কষে সরকারদলীয় প্রার্থী জয়ী হতে চাইছেন। কিন্তু আমার বড় শক্তি আমার নগরবাসী ও ভোটারবৃন্দ। আপনারাই এর প্রতিবাদ করবেন আপনাদের শক্তিশালী রায়ের মাধ্যমে। আমি কথা দিচ্ছি, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করলে সিলেটকে একটি আধুনিক মহানগর হিসেবে গড়ে তুলব। নগরবাসীর নিরাপত্তা, যোগাযোগের উপযোগী নতুন নতুন রাস্তা, ফুটপাত নির্মাণসহ যানজট নিরসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেবো। বিজ্ঞপ্তি