সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২৩, ৭:৫০:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে মাছ বিক্রেতা সোহাগ হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পেনাল কোডের আরেকটি ধারায় তাদের প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক জালালাবাদকে রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট মো. জুবায়ের বখত।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নগরীর ঘাসিটুলা সবুজ সেনা বি-ব্লকের ৭০নং বাসার মইন উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. শাকিল আহমদ, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়ার বাসিন্দা ও বর্তমানে নগরীর ঘাসিটুলা বেতেরবাজার আনোরুল ইসলামের ১৫৬নং বাসার বাসিন্দা জয় আহমদ দিপু ও ঘাসিটুলা সবুজসেনা বি-ব্লকের ৭৫নং বাসার মিনহাজ মিয়ার ছেলে সাইমুম আহমদ।
এছাড়া মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথের জীবনপুর গ্রামের রায়খাইল এলাকার রজব আলীর ছেলে ও নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়ার ডি-ব্লকের ৫২নং বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান হাবিব, নগরীর কেওয়াপাড়া ১১৯নং বাসার মৃত ইমরান হোসেনের ছেলে রুহেল ওরফে রুমেল।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সোহাগ আহমদ বগুড়া সদর উপজেলার আলিয়া বাজার ঝোপগারি পূর্বপাড়া এলাকার আশরাফ আলী ছেলে এবং সিলেট নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের মজুমদারপাড়া ময়না মিয়ার কলোনীতে ভাড়া থাকতেন। নগরীর কাজিরবাজারে মাছ বিক্রি করতেন সোহাগ আহমদ (১৭)। ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে বাসা থেকে বের করে নেয়। পরবর্তীতে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ১৬ এপ্রিল সোহাগের মরদেহ কোতোয়ালী থানাধীন এলজিইডি ভবনের পেছনে গাভিয়ার খালে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার দেহে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ও হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল।
এ ঘটনায় নিহতের মা ফুল বানু বাদী হয়ে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা ও গুমের ঘটনায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মামুন, ডালিম, মোতালেব, সাকিল, সাইয়ুম ও দিপু। এরমধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। মামলাটি ওই আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ৬৬৬/’১৯ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।