বৃষ্টিতে দোকানের সামিয়ানায় পথচারী বিড়ম্বনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২৩, ৮:২৬:৪০ অপরাহ্ন
![](https://dailyjalalabad.com/files/uploads/2023/06/tripol-raza-man-700.jpg)
ফাইল ছবি:
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে দোকানের বাড়তি অংশের জন্য ত্রিপল বা পলিথিন দিয়ে সামিয়ানা টাঙানো হয়। দোকানের সীমানার বাইরে ছোটো পাইপ বা বাঁশের লাঠি দিয়ে রাস্তা, ফুটপাতে থাকে সামিয়ানার সেই অংশ। বৃষ্টির দিনে এই সামিয়ানায় তৈরি হয় মারাত্মক পথচারী বিড়ম্বনা। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় জমা পানি আর ফুটপাতে দোকানের বাড়তি অংশের ফলে পথচারীদের নাজেহাল হওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তক ব্যাপার। কখনও কখনও এতে দুর্ঘটনাও।
নগরীতে এখন অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে লোকজন রাস্তা এড়িয়ে ফুটপাতে চলাচল করেন। কিন্তু ফুটপাত লাগুয়া বিভিন্ন দোকানের সাটারের সাথে লাগিয়ে থাকা বাড়তি অংশের জন্য মানুষের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। বৃষ্টির জন্য সবাইকে ছাতা ব্যবহার করতে হয়। ছাতাগুলো মাথার উপরে থাকায় হাঁটতে গিয়ে প্রায়ই এসব সামিয়ানার সাথে বেজে যায়। এতে কখনও কখনও মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নারীদের। অন্যসময় ছাতা না থাকায় এসব সামিয়ানার খুঁটি লোকজনের চোখে পড়লেও বৃষ্টিতে তা খেয়াল করার সুযোগ থাকেনা।
সোমবার ভোররাত থেকেই সিলেটে বৃষ্টিপাত হচ্ছিলো। ভোর থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত টানা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সকালের এই সময়টি লোকজনের অফিস-আদালত গমন ছাড়াও বাচ্চাদের স্কুলের সময়। আসার সময় দোকান-পাঠ বন্ধ থাকলেও ছুটির সময় তা খোলা থাকে। সরেজমিন নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে চোহাট্টা, জিন্দাবাজার থেকে লামাবাজার এবং জেলরোড পয়েন্ট সড়কে দেখা যায় প্রায় সবগুলো দোকানের সামনে পাইপ কিংবা বাঁশের খুঁটি দিয়ে ত্রিপলের সামিয়ানা টাঙানো। এই এলাকায় চারটি সরকারি স্কুল এবং অনেকগুলো মার্কেট থাকায় নারী ও শিশুদের আসা যাওয়া অনেক বেশি। বাচ্চাদের স্কুলে থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় মায়েদের এসব সামিয়ানার জন্য সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে এসব দোকানের সামনে এলে ছাতা বাঁকা করতে হয় অথবা নিচু করে যেতে হয়। এতে বৃষ্টিতে ভিজে যান সাথে থাকা শিশু এবং মায়েরা। আর যারা খেয়াল করতে পারেন না, বৃষ্টির জন্য দ্রুত হাঁটেন তাদের এসব সামিয়ানার দড়ি বা পাইপে ছাতা পেছিয়ে মাথা, মুখে আঘাত পান। অনেককে পা পিছলে ফুটপাতে পড়ে যেতেও দেখা গেছে। এনিয়ে অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সরকারি কিন্ডার গার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাথ নামে এক শিক্ষার্থীর মা জানান বৃষ্টি বাদলার দিনে বাচ্চাদের নিয়ে যেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। বৃষ্টি না থাকলে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই, বৃষ্টিতে রাস্তার কিনারে পানি জমে থাকে তাই ফুটপাত দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ফুটপাতেও শান্তিতে যাওয়া যায় না। ফুটপাতের পাশের দোকানের বাড়তি অংশের জন্য হাঁটাচলা খুব বিপজ্জনক। দোকানের বাইরে তাদের টাঙানো সামিয়ানার জন্য ছাতা কাৎ করে যেতে হয়, এতে শরীর ভিজে যায় আর খেয়াল না করলে ছাতা আটকে মাথায় মুখে বাড়ি লাগে।
এদিকে দোকানিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা সবসময় এরকম রাখি। দোকান বন্ধের সময় তা গুটিয়ে নিই। সামিয়ানা না দিলে বৃষ্টির পানি দোকানে এসে ঢুকে যায়।