সুনামগঞ্জে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৩, ৮:০২:৩৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: সুনামগঞ্জ মানেই পানির সাথে সংগ্রাম করে চলা এক জনপদ। যুগ যুগ ধরে প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে চলতে হয় হাওরাঞ্চলের এই জনপদের মানুষদের। সবচেয়ে বেশি দূর্ভাবনায় থাকতে হয় হাওর ও নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। এবার পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোয় পানি ঢুকছে। তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ঢল আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি ঢুকবে বসতবাড়িতে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে সুনামগঞ্জের এসব এলাকার মানুষের। যদিও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকায় আপাতত বড় বন্যার শঙ্কা নেই। হাওর ও নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোয় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ও গুয়ারচুরা গ্রামে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে দুই গ্রামের মূল সড়ক। গ্রাম দুটির অপোকৃত নিচু এলাকার বসতবাড়ির চারপাশ প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব বাড়ি থেকে মূল সড়কে যাতায়াতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। পানি ঢোকার শঙ্কায় রয়েছেন পাশের কুলাউড়া ও দরিয়াবাজ গ্রামের বাসিন্দারাও।
এই গ্রামগুলোর বাসিন্দারা গত বছরের বন্যার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারেননি। গুয়ারচুরা গ্রামের বাসিন্দা ছালেহা খাতুন গতবারের বন্যা নিয়ে বলেন, পানি ওঠে ধান, গরু, চাল সব গিয়েছিল। ঘরে কোনো আসবাব তো দূরে থাক কাথা বালিশও রাখা যায়নি। এমনকি সাপ, জোঁকের যন্ত্রণায় ঘরে থাকাও দায় হয়ে পড়েছিল। এবারও যদি এমন হয় তাহলে কী করবো ভেবে পাচ্ছিনা।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে সুরমা নদী ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘এই অঞ্চলের হাওর ও নদী লাগোয়া নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদে বন্যা দেখা দিতে পারে। বড়ো কোনো বন্যার শঙ্কা আপাতত নেই। যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের ওপর।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখনও তো বন্যা হয়নি। তারপরও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ত্রাণ, চাল-ডাল ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখছি। উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে সভা করা হচ্ছে। তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’