পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২৩, ৯:৪৯:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জেরও বিভিন্ন এলাকা।
এতে এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়ক ডুবে যাওয়ায় তাদের চলাচলের বাহন হয়ে উঠেছে নৌকা।
কোম্পানীগঞ্জ গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চলের গৃহস্থরা বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু নিয়ে। মাঠ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় ঘাস খাওয়ানোর জন্য অনেকে নৌকায় করে এসব পালিত পশু নিয়ে যাচ্ছেন উঁচু কোনো জায়গায়। তকে গতকাল অবিরাম বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলায় পানি কিছু কমেছে।
গত ১৪ জুন থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। উজানের ঢলে নেমে আসা পানি এবং বৃষ্টিতে নদীর পানি বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমলেও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে তা এখনও বিপদসীমার নিচে আছে। তাছাড়া সীমান্ত নদী যাদুকাটা, পুরাতন সুরমাসহ অন্যান্য নদ নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে আছে।
গত বছর জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। নদীর ও ঢলের পানিতে চারদিক প্লাবিত হয়ে সেই বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। মানুষ ছুটে গিয়েছিল আশ্রয়ের খোঁজে।
আবার প্রথমবার বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় দফার বন্যায় জনগণের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
সে দফায় সিলেটের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থা কয়েক দিন বন্ধ ছিল। ব্যাহত হয়েছিল ইন্টারনেট–সেবা। সুনামগঞ্জের মানুষ কয়েক দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলেন। মানুষের গরু, হাঁস, মুরগিসহ অনেক গৃহপালিত পশু বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিল। সবকারি হিসাবে ওই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩০ লাখের মতো।