রাতের নগরে আতঙ্ক বেপরোয়া ট্রাক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০৫:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে নির্জন হতে থাকে সড়কগুলো। ফাঁকা নগরে রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন বাড়ে গাড়ির গতি। রাতের নগরে মালবোঝাই ট্রাক-পিকআপ আর ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে গতির প্রতিযোগিতায় নামে গাড়ি। বেশিরভাগ চালকই থাকেন মদ্যপ। যে কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এই বেপরোয়া গতির গাড়ি সামলাতে হিমশিম খান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সিলেট নগরের সড়কে থাকে ট্রাকের আধিপত্য। এই আট ঘণ্টায় প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় ছোট বড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া পণ্য নিয়ে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছার প্রতিযোগিতায় নামেন আরেক শ্রেণির চালক।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাত ১০টার আগে নগরীতে ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। সন্ধ্যার পরপরই নগরের অনেক সড়কে ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়। বিশেষত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে পাথরবহনকারী ট্রাক নগরের ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি চলাচল করে। এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। আর এসব ঘটনায় প্রাণহানিরও খবর পাওয়া গেছে। নগরের ভেতর দিয়ে ট্র্রাক চলাচল বন্ধেরও দাবি ওঠেছে বিভিন্ন সময়। তবে কখনোই বন্ধ হয়নি ট্রাক চলাচল।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থেকে পাথর বহনকারী ট্র্রাক যাতে নগরের ভেতরে প্রবেশ করতে না হয় সে জন্য বিমানবন্দর-বাদাঘাট-তেমুখী বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সে উদ্যোগও থেমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। গত ৭ জুন ভোরে নাজিরবাজারে পাথার বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৩ জন।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ট্রাকগুলো চলাচলের বিকল্প সড়ক না থাকায় নগরের ভেতর দিয়েই প্রবেশ করতে হচ্ছে। তবে রাত ১০টার আগে যাতে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য নগরের প্রবেশমুখে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন।