নগরজুড়ে যানজটে ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২৩, ১২:১০:০৫ অপরাহ্ন
মুনশী ইকবাল: তীব্র যানজটে নগরজুড়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে রাস্তায় বের হলে যানজট, দুই মিলে কাহিল নগরবাসী। ঈদের আর মাত্র দুইদিন থাকায় যানজট প্রকট হয়েছে। যানজটের মূল কারণ হিসেবে কোরবানির পশু আনা-নেওয়ার েেত্র ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন এবং ঈদে বাজার সদাই ও ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের চাপকেই দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া কোরবানির পশু বাজার থেকে কিনে হাঁটিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে, এজন্যও যানজট বেড়েছে বলেছেন তারা। এছাড়া যাত্রতত্র পার্কিং তো আছেই।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র বলছে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নগরে কিছুটা যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। কোরবানির পশুর হাটের জন্য নগরীতে পশু পরিবহন করা যানবাহন প্রবেশ করছে, এতে যানজট কিছুটা বাড়ছে। তবে ট্রাফিক বিভাগের প থেকে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে তারা কাজ করছেন। মঙ্গলবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় তারা আশা করছেন আজ থেকে যানজটের তীব্রতা কমে যাবে।
সোমবার দেখা গেছে সকালের দিকে রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকলেও দুপুরে রোদ পড়ে যাওয়ার পর থেকে লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কাজির কাজার পশুর হাটে ধীরে ধীরে দু একজন করে ক্রেতা আসা যাওয়া করছেন। তবে বিকেল থেকে রাস্তায় মানুষ, যান উভয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে, শুরু হয় যানজট। এ সময় তা তীব্র আকার ধারণ করে। নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, লামাবাজার এবং তালতলা এলাকায় যানজট ছিল সবচেয়ে বেশি। মূলত অধিকাংশ মার্কেটের জন্য জিন্দাবাজার-বন্দর চৌহাট্টা এবং নগরীর একমাত্র পশুর হাট কাজিরবাজারের জন্য তালতলা-লামাবাজার এলাকায় যানজট বেশি ছিল। এসব এলাকায় লোকজনকে দীর্ঘসময় যানজটে রিকশায় বসে থাকতে দেখা গেছে, অনেকে রিকশা ছেড়ে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন। সন্ধ্যার পর তা আরও বেড়ে যায়।
এছাড়া বন্দরবাজার- কোর্ট পয়েন্টে যানজটের মূল কারণ ছিল সিএনজি চালিত অটোরিকশার জটলা। এখানে অটোরিকশাগুলো রাস্তার অর্ধেকের বেশি ছাড়িয়ে একেবারে ডিভাইডারের পাশ থেকে যাত্রী তুলতে ও নামাতে দেখা গেছে। এনিয়ে রিকশাচালক ও যাত্রীদের সাথে তাদের হট্টগোলও বাধতে দেখা গেছে। অপরদিকে রেজিস্টারি মাঠর সামনে থেকে একেবারে জিন্দাবাজার মুক্তিযোদ্ধা গলি পর্যন্ত রাস্তার উত্তরপাশের কেবল কোর্ট পয়েন্ট সিএনজি পয়েন্ট ছাড়া পুরোটা ফুটপাত ও পাশের রাস্তা ছিল হকারদের দখলে। এতে লোকজনকে ফুটপাত ছেড়ে মূল রাস্ত দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। ঈদের জন্য এসব এলাকায় ফুটপাতের হকার এবং ফুটপাতের পাশের দোকানগুলো অন্য সময়ের চেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে রাস্তায়ও টেবিলে পণ্যের পসরা সাজানোর ফলে রাস্তা ছোটো হয়ে যান চলাচাল বিঘ্নিত হচ্ছে। এরবাইরে কোরবানির পশু নিয়ে লোকজন বিছাল বিছাল রবে মাঝেমধ্যে দৌড়ে যাচ্ছেন এতে আশপাশের লোকজন দ্রুত সরতে হচ্ছে, ফলে যানজট লাগছে।
নগরীর তলতলা জিতুমিয়া সড়কের ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন বলেন, এই রাস্তায় যানজট খুব একটা থাকে না। মাঝেমধ্যে অল্প সময়ের জন্য জটলা তৈরি হলেও তা বেশিক্ষণ থাকে না। তবে কোরবানির সময় এই রাস্তায় মনেহয় নগরীর সবচেয়ে বেশি যানজট তৈরি হয়। এর মূল কারণ কাজিরবাজার গরুর হাট। কোরবানির সময় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু নিয়ে আসেন পাইকাররা। এতে বাজারের সীমানা পেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে বাজার। ফলে যান চলাচলে সমস্যা হয়। এবারও তাই হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন উপকমিশনার (ট্রাফিক) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কিছুটা যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ট্রাফিক বিভাগের প থেকে ঈদে জন্য বরাবরের মতো পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহী ঈদগাহ, শাহজালাল র. ও শাহপরান র, মাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করছি আজ থেকে যানজট কমে আসবে।