জকিগঞ্জে দুই নির্বাচন কর্মকর্তা মামলার দায় হতে খালাস !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২৩, ৬:৩৯:১৮ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : ২০২২ সনের ৫ জানুয়ারী জকিগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই জন রিটার্নিং কর্মকর্তা সীল দেয়া ব্যালট পেপার, নগদ টাকা, ফেনসিডিল বোতলসহ গ্রেফতার হওয়াকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। যে কারণে উপজেলার কাজলসার ও সুলতানপুর ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল। সেই মামলায় সাক্ষী প্রমাণে প্রমাণিত হয়নি মর্মে বুধবার দুই কর্মকর্তাকে নির্দোষ হিসাবে অব্যাহতি দিয়ে রায় প্রদান করেছেন জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা। আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন ও অ্যাডভোকেট কাওছার রশিদ বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিএসআই বাহার উদ্দিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন চলাকালীন সময়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হক এর সরকারি গাড়ী তল্লাশী করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সিলেটের জেলা প্রশাসক) এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়ার উপস্থিতিতে কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনী প্রতিকে সীল দেয়া ৪শত ব্যালট পেপার, সীল ছাড়া ৪শত ব্যালট পেপার, মুড়ি বই ৪টি, ইউপি সদস্য নির্বাচনের ব্যালট সীল দেয়া ও সীল ছাড়া ৪শত ও মুড়ি বাই ৪টি, সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচন ব্যালট সীল দেয়া ও সীল ছাড়া মোট ৪শত ও মুড়ি বই ৪টি, ব্যালট বাক্সের লক ৮টি, মোবাইল ফোন ৪টি, নগদ ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা ও ১টি ফেনসিডিল বোতল ইত্যাদি তাদের দখল হতে উদ্ধার করে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিব ও কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। জৈন্তাপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় ২ নং মামলা রেকর্ড করেন। নজিরবিহীন এ ঘটনায় সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই কয়েকদিন পর জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হতে দু’জন আসামী জামিনে মুক্তি পেলেও নির্বাচন কমিশন দু’জনকে সাময়িকভাবে চাকরীচ্যুত করে। দু’টি ইউনিয়নেই একই বছরে ১৫ জুন পুন:নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জকিগঞ্জ থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
এই মামলায় সিলেটের বিদায়ী পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, বিদায়ী সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাকুর মাহমুদসহ ১৭জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী প্রদান করেন।