সিলেট-সুনামগঞ্জে কমছে পানি, বাড়ছে মৌলভীবাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২৩, ৯:২৮:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভাছড়া ও সারি নদীর পানি গত তিন দিন ধরে কমছে। সিলেট-সুনামগঞ্জে তিন দিনে সুরমা নদীর পানি কমেছে ৩০ সেন্টিমিটারের বেশী। এতে হাওরাঞ্চলে ওঠা পানিও ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার একাধিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। পানি নেমে এসব সড়ক ভেসে উঠছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় নিম্নাঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলেই সিলেট-সুনামগঞ্জে পানি বাড়ে। গত তিন দিন দুই জায়গাতেই বৃষ্টি হয়নি। বিশেষ করে মেঘালয়ে বৃষ্টি না হওয়ায় পাহাড়ি ঢল নামেনি। তাই সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও হাওরে পানি কমছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মনে।
তবে এবার মৌলভীবাজারে নদনদীতে পানি বাড়ছে। কমলগঞ্জ পৌরসভার বেশকিছু এলাকাসহ সদরের খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা, দাউদপুর, ব্রাহ্মণগ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনু নদীর কুলাউড়ার রেলওয়ে ব্রিজ, মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কমলগঞ্জের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জের ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌরসভার তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলো হলো পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পানিশালা, কমলগঞ্জ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চ-িপুর গ্রাম। এতে এ গ্রামের প্রায় ৪০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাসাবাড়িও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে কমলগঞ্জ ডাকঘর, থানা কোয়ার্টার, সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ তলিয়ে গেছে। পৌর এলাকার থানা সড়ক ও ভানুগাছ বাজার সড়কেও পানি উঠেছে।
অপরদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ধলাই নদীর তিনটি স্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে রাতের মধ্যে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, কমলগঞ্জের ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-পদ্মার সঙ্গে যুক্ত হবিগঞ্জের খোয়াই ও মৌলভীবাজারের ধলাই নদীতে পানি বাড়ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।