আজমিরীগঞ্জে অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধুর আত্মহত্যা

আজমিরীগঞ্জ সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে রুমা দাস নামে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্বা এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহের দাহ কার্যও সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর মিশনহাটিতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুমা দাস পাহাড়পুর বাজারের কম্পিউটার ব্যাবসায়ী দিপংকর দাসের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের নদীপুর গ্রামের গুনবল্লভ দাসের কন্যা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ মাস পূর্বে বদলপুর ইউনিয়নের নদীহাটি গ্রামের গুণবল্লভ দাসের বড় মেয়ে রুমা দাসের সহিত পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের পাহাড়পুর মিশনহাটির বাসিন্দা দিপংকর দাসের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় মেয়ের জামাইকে স্বর্ণাঅলংকারসহ নগদ অর্থ ও দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের পরিবারের লোকজন জনের সাথে ভিডিও কলে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন রুমা দাস। এরপর মধ্যরাতে সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন রুমা দাসের পরিবার ও স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবগত না করেই শুক্রবার দুপুরের পর মরদেহ দাহ সম্পন্ন করেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, শুনেছি মেয়েটি গর্ভবতী ছিলো। রাতে বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রাতেই ছেলের বাড়ির লোকজন ও মেয়ের বাড়ির লোকজন স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়। মেয়ের বাবাকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও বিয়ের সময় দেয়া স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতিতে বিষয়টি রফাদফা করেন। এ বিষয় উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আদিত্য তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।