বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, স্বামী জেলে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০২৩, ৯:৩২:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ফাহমিদা আক্তার। বয়সে তরুণী। বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার বৈরাগীবাজারে কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানকে। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় সাংসারিক টানাপোঁড়েন আর স্বামীর নির্যাতন। এভাবেই কেটে যায় তিন বছর।
এদিকে ফাহমিদা-আবিদুরের বিয়ের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তান- সন্তানাদি না পাওয়ার শুরু হয় আক্ষেপ। এনিয়ে স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন ও নানা কথা সইতে হয়েছে ফাহমিদাকে।
ফাহমিদার ভাই বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তার স্বামী আবিদুরকে প্রবাসে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বেশী দিন থাকেনি আবিদুর। দেশে ফিরে এসে আবার ফাহমিদার উপর শুরু করে নির্যাতন। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকও হয়। দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের ইতি ঘটলো বুধবার ভোরে। তবে রয়ে গেল রহস্য! সকালে আবিদুর ও ফাহমিদা দম্পতির বসত ঘর থেকে উদ্ধার হলো ফাহমিদার ঝুলন্ত লাশ।
নিহতের বাবা ও ভাই অভিযোগ করেন, স্বামীর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ফাহমিদাকে মানষিক নির্যাতন করে আসছিলো। রাতেও ফোন দিয়ে ঝগড়ার কথাও জানিয়েছিলেন। ফাহমিদা আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি আত্মহত্যা নয়।
ফাহমিদার শ^শুর দবির মিয়ার বলেন, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে ফাহমিদা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন গলায় ওড়না প্যাচ দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা জমির উদ্দিন। এতে ফাহমিদার স্বামী আবিদুর রহমান, শ্বশুর দবির উদ্দিন এবং শ্বাশুড়ি লিপি বেগমকে আসামী করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বামী আবিদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।