উচ্চ আদালতের নির্দেশে: সুনামগঞ্জে ৫ খালের উদ্ধার অভিযান শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০২৩, ৫:০৯:২৯ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৫ টি খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল ১০ টায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহের নেতৃত্বে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন। সকাল ১০ টা থেকে ফেলোডার, এস্কেভেটরসহ শতাধিক শ্রমিক শহরের কামারখাল এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনা ভাঙতে শুরু করে। কামারখালের মধ্যভাগে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে একের পর এক স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোতায়েন করা হয় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য। এছাড়া গ্যাস বিদ্যুৎ টেলিফোনসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার লোকজন আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সহায়তা করেন।
সুরমা নদী বেষ্টিত সুনামগঞ্জ শহরের বুক চিড়ে প্রবাহিত হতো কামারখাল, বড়পাড়াখাল, তেঘরিয়াখাল, নলুয়াখাল বলাইখাল। ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এসব খালের অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। প্রতিটি খাল দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খালগুলোর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের নুতনপাড়া, আরপিননগর হাজীপাড়া শান্তিবাগ বড়পাড়া বিলপাড়সহ সবগুলো আবাসিক এলাকায় বর্ষাকালে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বসত ঘরের নিচতলা। উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে আবাসিক এলাকার লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলে খালগুলো আবর্জনামুক্ত করা হবে এবং পানি প্রবাহ সৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দুর হবে। প্লাবিত হবে না শহর।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত চলবে। একটি অবৈধ স্থাপনা খালে থাকবে না। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। ২০০৭ সালে প্রথম উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ১৭ বছর পরে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার মামলার প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়।