সুনামগঞ্জে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ২ যুবক শ্রীঘরে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০২৩, ৬:৪০:২১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্বশত্রুতার জের ধরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরগাও গ্রামের এক টমটম চালককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ২ যুবক এখন জেল হাজতে। তারা হলেন, একই উপজেলার গৌরারং গ্রামের মৃত আজমান আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও টুকেরগাও গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে সুহেল আহমদ (২৯)। এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের কিছুক্ষণ ক্যান্টিনের সামনে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট হতে ১টি টমটম গাড়ীযোগে কতিপয় লোকজন যাত্রীবেশে মাদকদ্রব্য নিয়ে ওয়েজখালীর দিকে যাচ্ছে। শহরের মল্লিকপুরস্থ কিছুক্ষণ ক্যান্টিনের সামনে গেলে টমটম গাড়িটি আটক করা হয়। এ সময় গাড়ীর পেছনে আসামী দেলোয়ার হোসেন এর হেফাজতে থাকা সীট থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৬০০ শত গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে আসামী দেলোয়ার হোসেন এর দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে সহযোগী সুহেলকে শহরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে আটক করা হয়। আসামী দেলোয়ার হোসেন ও সুহেলকে উদ্ধারকৃত গাঁজা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানায়, টমটম চালক দেলোয়ারের প্রতিপক্ষ টুকেরগাও গ্রামের আলী নূর নামক ব্যক্তির নিকট হতে মাদক নিয়ে শহরে এসেছিলেন তারা। টমটম চালক দেলোয়ার হোসেন জানান, যাত্রী ২ জনই আমাদের এলাকার। তারা আমাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে টমটমে গাঁজা রেখে চলে যাওয়ার মূহুর্তে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে।
কেনো ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলী নূরের পরিবারের লোকজন আমাদের বসতবাড়ীর ৮ শতক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এ মামলা প্রত্যাহার না করায় আমাদেরকে তারা বাড়ি থেকে তাড়াতে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং গভীর রাতে বাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অবশেষে আমাকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিল আলীনূর। আমি নির্দোষ থাকায় রেহাই পাই।
এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আমরা গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে আটক করেছি। বর্তমান তারা জেলহাজতে রয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক বিধায়, তদন্ত করা হচ্ছে।