শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২৩, ৬:২২:২১ অপরাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান, ওনাদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাঁদের সৃষ্টি অনন্য এবং অমর হয়ে আছে।
তিনি বলেন, শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন এরকম অনেক গুণীজন তাঁদের অনন্য সৃষ্টি রেখে গেছেন। এদের মতো করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ হবে, আরও বৈচিত্র্যময় হবে। আর সেজন্য আজ যাঁরা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এবং আগামীতে যারা পাবেন তাঁরা এসব সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ একাডেমি মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে শিল্প-সংস্কৃতিতে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিলেট জেলার ৫ গুণীশিল্পীকে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক ২০২২’ পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫ গুণীশিল্পীর হাতে সম্মাননা পদক, সম্মাননা চেক, সনদপত্র ও উত্তরীয় তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
আবৃত্তিশিল্পী রোহেনা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীশিল্পীগণের পক্ষে অনুভূতি জ্ঞাপন করেন মিহিরকান্তি চৌধুরী। জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২ পদকপ্রাপ্ত গুণীশিল্পীরা হলেন, মিহিরকান্তি চৌধুরী (লোকসংস্কৃতি), পূর্ণিমা দত্ত রায় (কণ্ঠসংগীত), চম্পক সরকার (নাট্যকলা), জ্যোতি ভট্টাচার্য্য (আবৃত্তি) ও মোঃ মিনু মিয়া (যন্ত্রসংগীত)। সম্মাননা প্রদান আয়োজনের শুরুতেই পপি দাসের সহপরিচালনায় ‘আলো আমার আলো, ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা। গ্রুপ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে আয়োজনটির সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইতোমেধ্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪জন গুণিব্যক্তি ও ১টি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি