পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২৩, ৯:২৯:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের সদর উপজেলার মুঘলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে তিনজন শিক্ষককে কষ্ট করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু প্রধান শিক্ষকের পদ নয় কর্মকালীন সময়ে একজন সহকারি শিক্ষক মারা যান এবং একজন সহকারি শিক্ষক অবসরকালীন ছুটিতে চলে যান। আর প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর পার্শ্ববতী ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে যান। বতর্মানে একজন সৃষ্ট প্রাক প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক এ বছর ২৪ জানুয়ারি যোগদান করায় তিনজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সহকারি শিক্ষক রোকশানা বেগম সিলেট পিটিআইতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিপিএড প্রশিক্ষণে চলে যাওয়ায় একজন সহকারি শিক্ষক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তৃপক্ষ অন্য বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশনে দুজন শিক্ষককে এ বিদ্যালয়ে পাঠান। পরে ডিপিএড প্রশিক্ষণ শেষে রোকশানা বেগম বিদ্যালয়ে যোগদান করলে কর্তৃপক্ষ ডেপুটেশনের দুজন শিক্ষককে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি শিক্ষক রোকশানা বেগম।
এদিকে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ১৯ জুন ২০২৩ সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে শূন্য পদ পুরনের জন্য অবেদন করলে সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তারা সংশ্লিষ্ট জায়গায় দরখাস্ত পৌঁছিয়ে দিবেন বলে জানান। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম জানান, পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। আশা করি শীঘ্রই প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ হবে।
সিলেটের সদর উপজেলার মুঘলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁওয়ে ১৯৭৭ সালে প্রায় ৬০ ডেসিমিল ভূমির উপর পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এ বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন।