দূষিত বায়ুর শীর্ষ চারে ঢাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ৯:৪৫:২০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ফের শীর্ষ ১০ এর মধ্যে ঘুরছে ঢাকা। ১০৪ স্কোর নিয়ে শুক্রবার রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ চার নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।
আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শুক্রবার শীর্ষে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৭০। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১১২ স্কোর নিয়ে রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক শহরের পর শীর্ষ তিনে ১০৬ স্কোর নিয়ে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। এছাড়া ১০৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে রাজধানী ঢাকার পর পাঁচ নম্বরে ১০২ স্কোর নিয়ে ছিল পাকিস্তানের করাচি।
এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ৬-এ ১০২ স্কোর নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের পর ৯৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে অবস্থান করছে চীনের উহান। এরপর শীর্ষ আট নম্বরে ৯৩ স্কোর নিয়ে আছে কুয়েতের কুয়েত সিটি এবং নয় নম্বরে ৯২ স্কোর নিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। এছাড়া তালিকার শীর্ষ ১০ এ একই স্কোর নিয়ে আছে চীনের বেইজিং।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।