সিলেটে চিড়িয়াখানা সময়ের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩০:৩০ অপরাহ্ন
পর্যটন নগরী হিসেবে সিলেটের খ্যাতি দেশ জুড়ে। শুধু নগরী নয় সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট বা পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বহু পর্যটক ও দর্শনার্থী এসব স্থান পরিদর্শনে আসেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুল অর্থ আয় হয় এই খাতে। সিলেটের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নগরীর উপকন্ঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত কোন সুবিধাজনক স্থানে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা যায়। বনজঙ্গল ও টিলাবেষ্টিত সিলেট অঞ্চলের বনাঞ্চলে দুর্লভ প্রজাতিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি ও জীবজন্তু রয়েছে। প্রায়ই অনেক প্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। কখনো কখনো মানুষের অসচেতনতার কারণে এগুলো বেঘোরে প্রাণ হারায়।
তাই সিলেট অঞ্চলে একটি চিড়িয়াখানা থাকলে বনাঞ্চলের বহু দুর্লভ প্রাণী যেমন দর্শনার্থীদের জন্য রাখা যাবে, তেমনি লোকালয়ে এসে পড়া বিপন্ন ও আহত প্রাণীদের আশ্রয়দান, পরিচর্যা ও রক্ষনাবেক্ষণেও এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুর্লভ প্রাণী এনে একটি আকর্ষণীয় চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হলে এটা স্থানীয় লোকজনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের আনন্দ ও বিনোদনের স্থানে পরিণত হবে। কৌতুহল মেটাতে সক্ষম হবে শিশু কিশোর ও শিক্ষার্থীদের। গবেষণার সুযোগ করে দেবে শিক্ষার্থী এবং প্রাণী ও প্রকৃতি গবেষকদের। ঢাকা প্রাণী উদ্যান, যা দেশজুড়ে মিরপুর চিড়িয়া হিসেবে পরিচিত, সিলেট অঞ্চল থেকে বহু দুরে অবস্থিত হওয়ায় এবং ব্যয়বাহুল্য ও যানজটসহ বিভিন্ন কারণে সেখানে যাওয়া সিলেট অঞ্চলের অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না।
ছোট ছেলে মেয়েদের প্রচন্ড ইচ্ছা ও ব্যাকুলতা সত্বেও অনেক পিতামাতা ও অভিভাবক তাদেরকে সেখানে জীবজন্তু ও পশুপাখি দেখাতে নিয়ে যেতে পারেন না। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে সিলেটে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী বলে সচেতন মহলের অভিমত। সচেতন মহল মনে করেন, এ ধরণের প্রাণীর জন্য সিলেট অঞ্চলের আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী।