‘দালালমুক্ত নির্বাচন অফিস’ পোস্টার টানানোর পর বেড়েছে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ৬:১৮:৩১ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে দিনের পর দিন দালালের কাছেই ধরনা দিতেন সেবা গ্রহীতারা। নাম, বাবার নাম, বয়সসহ আইডিকার্ডের ভুল সংশোধন করাতে অনলাইন আবেদনের জন্য কম্পিউটারের দোকানে যেতে হয়। এই সুবাদে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে দালালরা রফাদফা করে হয়রানি করতে থাকে সেবা গ্রহীতাদের। বেশিরভাগ আবেদনে সেবা গ্রহীতার ফোন নাম্বারও দেওয়া হয় না। যে নাম্বারটি দেওয়া হয় সেটিও থাকে দালাল চক্রের। বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিবুন্নাহার বেগমের নজরে পড়ায় দালালমুক্ত নির্বাচন অফিস লেখা পোস্টার টানান অফিসের দেওয়ালে। এরপর থেকে সরাসরি সেবা গ্রহীতার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তার সাথে কমেছে হয়রানিও। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে সঠিকভাবে আবেদন করে যে কেউ অফিসে গেলে সাথে সাথেই সংশোধন করে দেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়ালে টানানো পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘অত্র অফিসের সেবা গ্রহণকারী প্রতিটি নাগরিককে পূর্ণ মূল্যায়ন করা হয়, কোন তদবিরকারীকে নয়। অফিসের নামে কেউ দালালি করলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অবহিত করুন। অত্র অফিসে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি অনলাইন ব্যতিত নগদ কোন টাকা পয়সা গ্রহণ করা হয় না এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত।’
নুরুল ইসলাম নামে এক সেবা গ্রহীতা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার জন্ম তারিখ পরিবর্তনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। কোন ধরনের দালাল কিংবা নির্বাচন অফিসে অর্থ লেনদেন ছাড়া নির্বাচন অফিসারের সহযোগিতায় আমার আইডি কার্ডটি সংশোধন করতে পেরেছি। নাছির উদ্দিন নামে আরেক সেবা গ্রহীতা বলেন, আমার আইডি কার্ডে সামান্য ভুল ছিল, আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসায় কোন টাকা পয়সা ছাড়া মাত্র ২ মিনিটে আমার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এমন সার্ভিস পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার জিবুন্নাহার বেগম বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে সঠিকভাবে আবেদন করলে আমরা তার আইডি কার্ড সংশোধন করে দেই। অনেক সময় দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে অনেক লোক আমার অফিসে আসে। কয়েকজন দালালের কাছ থেকে আমি সেবা গ্রহীতাদের টাকাও উদ্ধার করে দিয়েছি। দালালরা যাতে নির্বাচন অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য আমি অফিসের সামনে এই পোস্টার লাগিয়েছি। এখন কোনরকম দালাল ছাড়া সেবা গ্রহীতারা সবাই সরাসরি এসে সেবা নিচ্ছেন।