ডায়রিয়ার স্যালাইন আড়াই গুণ দামে বিক্রি!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ৭:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত রোগীর শিরায় প্রয়োগযোগ্য স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কলেরা ও ডায়রিয়া রোগীদের অনেক ক্ষেত্রে পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম অ্যাসিটেট ও সোডিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণযুক্ত স্যালাইন দিতে হয় শিরায়। এ ধরনের প্রতি ব্যাগ স্যালাইন এখন দুই থেকে আড়াই গুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের দাবি, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় সব ধরনের স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যায়। কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, এক থেকে দেড় মাস ধরে বাজারে ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের জন্য ব্যবহৃত স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ওই সুযোগে ৯০-৯২ টাকা দামের ১০০০ মিলিলিটারের এক ব্যাগ স্যালাইন এখন ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব বাড়ায় সব ধরনের স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের স্যালাইন তৈরি তরতে গিয়ে ডায়রিয়া বা কলেরা রোগের স্যালাইন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে কোথাও কোথাও সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, দেশে কলেরা স্যালাইন তৈরি করছে অপসো স্যালাইন কোম্পানি লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড, দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরুল আলম বলেন, বাজারে স্যালাইনের চাহিদা উৎপাদনের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের স্যালাইন তৈরি করতে গিয়ে ডায়রিয়া স্যালাইনের সংকট রয়েছে। তবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্প্রতি ডাকা হয়েছিল। তাদের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। যাদের দুই শিফটে উৎপাদন হয়, তাদের তিন শিফট এবং প্রয়োজনে বন্ধের দিনেও উৎপাদন অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।