মাওলানা বদরুল হকের ইন্তেকাল : কুদরত উল্লাহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের শোক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ৯:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন
নগরীর বন্দরবাজারস্থ হাজী কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা বদরুল হক (কাতারী হুজুর) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর ঝেরঝেরি পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল অনুমানিক ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।
মঙ্গলবার বাদ জোহর নগরীর ঝেরঝেরি পাড়া জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাঁকে মানিকপীর (র.) কবর স্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম হাফিজ মাওলানা বদরুল হকের গ্রামের বাড়ী জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলগ্রামে। বর্তমানে তিনি নগরীর ঝেরঝেরী পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন কাতারে আওকাফের আওতায় একটি মসজিদের ইমাম এবং মাদরাসার খিদমাত করে ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করে দেশে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি বিনা বেতনে নগরীর কুদরত উল্লাহ হাফিজ মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আগ্রহ প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেন। এরপর ২০০৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি কুদরত উল্লাহ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এই দীর্ঘ সময়ে যাতায়াত খরচ ব্যাতিত তিনি বেতন ভাতা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
কুদরত উল্লাহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের শোক
হাজী কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা বদরুল হক (কাতারী হুজুর) এর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এক শোক বার্তায় মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ বলেন, মরহুম হাফিজ মাওলানা বদরুল হক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আল্লাহর দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন কুরআন সুন্নাহর ধারক-বাহক। তাঁর ৩ ছেলের সকলেই বড়মাপের আলেম এবং দ্বীনি খেদমতে সুপ্রতিষ্ঠিত। কুদরত উল্লাহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে পরম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি সকলের প্রিয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা দ্বীনের একজন রাহবারকে হারালাম। আল্লাহ পাক মরহুম হাফিজ মাওলানা বদরুল হককে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও পরিবারবর্গকে এই শোক সইবার শক্তি দিন। আমীন। বিজ্ঞপ্তি