বালাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের অনাস্থা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২৩, ৭:০৪:১৭ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: বালাগঞ্জ উপজেলার ৪নং পশ্চিম গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের ১১ সদস্য। গত ৭ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পরিষদের ৩ নারী সদস্য ও ৮ পুরুষ সদস্য মিলে ১১ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত লিখিত অনাস্থাপত্র দাখিল করা হয়। গেল নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আ’লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এ নেতা।
অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ইউপি সদস্যদের সঙ্গে সর্বদা অসদাচরণ করাসহ তাদের উপর আক্রমনাত্মক হন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ আইন তোয়াক্কা না করে তিনি গায়ের জোরে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। পরিষদে আসা সরকারি বরাদ্দ সদস্যদের মধ্যে বন্টনে বৈষম্য করে থাকেন।
তিনি পরিষদের সচিবের সহযোগিতা নিয়ে সাধারণ সভার রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। গত মাসে প্রথম গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যান বাদ দিয়ে নিজের মন মতো প্যানেল গঠন করে একজনকে চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দিয়ে কোন ছুটি না নিয়েই যুক্তরাজ্য সফরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি নাগরিক সনদ, উত্তরাধিকারী সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম মৃত্যু সনদসহ হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারি টিউবওয়েল প্রদান, বয়স্ক ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড প্রদান, পরিষদে সময় না দিয়ে ঠিকাদারী কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ।
১, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত ৩টি আসনের মহিলা সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদে তুঘলকি কায়দায় অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি কাউকে পাত্তা দেননা। আমরা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ৭ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছি। আমরা তার বহিষ্কার দাবি করছি ।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান বলেন, একটি মহল টাকা দিয়ে পরিষদের সদস্যদের আমার বিরুদ্ধে লাগিয়েছে। আমি বিদেশে যাওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করেছিলাম, ছুটি মঞ্জুর হয়নি। আমি বিদেশ যাওয়া বাদ দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, কাল্পনিক, মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে তার পরিষদের সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব এনে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান একটি ছুটির আবেদন করেছিলেন। ছুটি মঞ্জুর হয়নি। তিনি বর্তমানে দেশে রয়েছেন।