মধ্যরাতে ইউএনও’র সাদাপাথর জব্দ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২৩, ৭:৪৯:২৭ অপরাহ্ন
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ: মধ্যরাতে সাদাপাথর চুরির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৭শত ফুট পাথর জব্দ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিএম সাদিক আল শাফিন ও ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদুল ইসলাম। বুধবার রাত ১১.৫০ মিনিটে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি কাউকে না পেয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাথরগুলো জব্দ করে পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
এদিকে, স্থানীয় শ্রমিকরা জানিয়েছেন তারা বিজিবি’র লাইনম্যান সেলিমকে নৌকা প্রতি ১ হাজার টাকা দিয়ে বর্ডার এলাকা সাদাপাথর থেকে পাথর নিয়ে আসেন। টাকা না দিলে কাউকে উপরে (বর্ডারে) ঢুকতে দেওয়া হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (ভিডিও সংরক্ষিত) কলাবাড়ি গ্রামের ২ জন শ্রমিককে রাতে কালাইরাগ অংশের সাদাপাথরে পেয়ে কথা হলে তারা জানান, কালাইরাগ বিজিবি’র লাইনম্যান কলাবাড়ি গ্রামের সেলিমকে ১ হাজার টাকা দিয়ে সাদাপাথর নিতে এসেছি। আবার সাদাপাথরের পার্টি এসে ১৫শত টাকা নিয়ে গেছে। কালাইরাগ বিজিবি পাস দিলে আমরা উপরে (সাদাপাথরে) আসি। এই পাথর নিয়ে আমরা ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করি। বিজিবির লাইনম্যান সেলিম জানান, আমি লাইনে নাই। বিজিবি নিজে টাকা নেয়। প্রতিদিন ২৫/৩০ বারকির মতো পাথর আসে।
কালাইরাগ বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপি নুর করিমের সাথে কথা হলে তিনি নৌকা দিয়ে সাদাপাথর নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিজিবি ও পুলিশের নৌকা সবসময় এখানে টহলে থাকে। এগুলো ফাঁকি দিয়ে কিভাবে নৌকা উপরে উঠবে। নয়াবাজারের ঘাটে ২/৩শত নৌকা বাঁধা থাকে সেই খবর কি আপনি জানেন না। সেলিম কিসের টাকা নেয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেলিমকে আমরা খুঁজতেছি।
কালাইরাগ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু তাহের জানান, সাদাপাথর নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। বিজিবির নৌকা সব সময় সেখানে টহলে থাকে। বাংকারের সাইড বা কমলা ঘাট থেকে পাথরগুলো যেতে পারে। তবে চিপ পাথরের কয়েকটি নৌকা যায় যেগুলো বালু থেকে সংগ্রহ করে শ্রমিকরা। বিজিবির নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, সেলিমকে আমি চিনি না। আর কেউ বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, রাতের আঁধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাদাপাথর চুরির বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রায় ৬শ থেকে ৭শ ফুট পাথর জব্দ করেছি। সাদাপাথর চুরির বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিজিবিকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাথর চুরির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।