পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যার বিচার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১০:০০:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু হত্যা মামলার বিচার। ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট নগরের কুমারপাড়ায় নিজ দলের ক্যাডারদের হাতে তিনি খুন হন। শুক্রবার এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পার হয়েছে। বর্তমানে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, বিচার শুরুর পর আসামী পক্ষ বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে নানা অজুহাতে প্রায় এক বছর সময় নষ্ট করেছে। বর্তমানে ওই মামলার ৮ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছেন।
এদিকে আদালত চত্বরে আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের চাচা ও মামলার বাদী মো: দবির আলী। এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। দবির আলী জানান, বর্তমানে আদালতের কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্ট। কিন্তু এর আগে আসামী পক্ষ টালবাহনা করে মামলার গতি স্থবির করে রেখেছিল। তবে মামলার আসামীরা তাকে ও সাক্ষীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী দবির আলীকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়া ওই বছর আরো ৭ জনের এবং চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুন আরো দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরআগে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ মামলার ২৬ আসামীর মধ্যে ২১ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ২২ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করা হয়। কিন্তু আসামীপক্ষ নানা অজুহাতে ৭ বার সময় চেয়ে দফায় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ বিলম্বিত করে বলে অভিযোগ করেন বাদী।
গত ১২ জুন মামলার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। শেখ মঈন উদ্দিন নামের ওই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আদালতে মামলার বাদী দবির আলীও উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণের পর ওইদিন আদালত চত্বরে মামলার আসামী এনামুল হক, একরামুল হক ও শেখ মো. নয়ন মিয়া বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি আদালতকে অবহিত করে বাদী থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। সন্ধ্যা বিজয় মিছিল নিয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা আরিফুল হকের কুমারপাড়াস্থ বাসায় আসেন। ফেরার পথে অভ্যন্তরিণ দ্ব›েদ্বর জের ধরে কুমারপাড়া পয়েন্টে নিজ দলের ক্যাডাররা রাজুকে কুপিয়ে খুন করে। নিহত রাজুর শরীরে ৪২টির বেশি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।