শাবি’র ১১ শিক্ষার্থীর জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ অর্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৬:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘের একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক (এমসিএন) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা কার্যক্রম ‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৩’ প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সমাজকর্ম বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। এ ফেলোশিপটি অর্জন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবার মিলেনিয়াম ফেলোশিপের যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীর কাজের সামাজিক প্রভাব এবং সমাজের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং উৎসাহ তাদেরকে ২০২৩ সালের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ক্লাসের জন্য নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মিলেনিয়াম ফেলো হিসেবে কয়েকটি সামাজিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ প্রভাবক্ষম প্রোগ্রামে এবং জাতিসংঘের সূচক ১৭টি এসডিজি লক্ষ পূরণে প্রতিনিধিত্ব করবে।
জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. মোফাজ্জল হক, নাজিফা ঈসিকা, সাদনাদুজ্জামান রীচি, রিদওয়ানুল হক সাদ, সুমাইয়া আক্তার রিফা, সিফাতুল কাফিয়া, মুরাদ মিয়া, মুজাহিদ ইমন, মোহাম্মদ জুয়েল, ঋতু সাহা এবং মোহাম্মদ আলী। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, মিলেনিয়াম ফেলোশিপ একটি দীর্ঘ নেতৃত্বমূলক প্রোগ্রাম যা সারা বিশ্ব থেকে নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে। এ একাডেমিক প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, পেশাগত যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ারের পথ বিকাশে সহায়তা করা যেটি সামাজিক প্রভাবক্ষম কাজে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়। ২০২৩ সালে ৪৪ হাজারের ও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে প্রায় ৪ হাজার জন মনোনীত হয়েছে। ২০২৩-এর ক্লাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ছিল, যেখানে ১১৯টি দেশ জুড়ে ৩০০০ এর বেশি ক্যাম্পাস থেকে ৪৪ হাজারেরও বেশি আবেদনকারী ছিল। বিশ্বব্যাপী ২৯০+ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৯ শতাংশ, এবং ৪০০০+ মিলেনিয়াম ফেলোর জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
ফেলোশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থী মো. মোফাজ্জল হক বলেন, আমরা আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গত এপ্রিল মাসের শুরুতে এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপের জন্য শিক্ষকদের রিকমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটিতে শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা যেভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেছে তাতে আমরা স্যারদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, পেশাগত যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ারের পথ বিকাশে সহায়তা করবে এই ফেলোশিপ। এই অর্জন সমাজকর্ম বিভাগ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আশাকরছি এই ১১ শিক্ষার্থী তাদের নেতৃত্ব গুনে দেশের সম্মান রাখতে সচেষ্ট হবে।