বন্ধ হয়ে যাওয়া লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৩, ৯:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ ৪ বছর ধরে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী।গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শনে তিনি আসেন। এ সময় বিভাগীয় কমিশনারের সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ এমরান হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌছিফ আহমেদ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব শাখা) কাজী শামীম, কানাইঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ।
বিভাগীয় কশিনার বন্ধ হয়ে যাওয়া লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর বর্তমান অবস্থা নৌকাযোগে ঘুরে ঘুরে দেখেন। সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্দকৃত লোভা নদীর দুই তীরে রক্ষিত প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর বর্তমানে কোন অবস্থায় রয়েছে তা তিনি স্বচক্ষে দেখে যান।
জানা যায়, প্রায় ৪ বছর পূর্বে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর লীজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোয়ারী থেকে তৎকালীন সময়ে উত্তোলনকৃত লোভী নদীর দুই তীরে স্তুপ করে রাখা প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর পরিবেশ অধিদপ্তর জব্দ করে। এরপর ৩ দফা জব্দকৃত পাথরের নিলাম দেয়া হলেও উচ্চ আদালতে একাধিক রীট পিটিশন মামলা হওয়ার প্রেক্ষিতে পূর্বের ৩ দফা জব্দকৃত পাথরের নিলাম প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুারোর সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করলেও জব্দকৃত পাথরের কোন সুরাহা বা পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে উচ্চ আদালতে কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত রীট পিটিশন মামলা সম্প্রতি নিষ্পত্তি হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীসহ বিশেষ করে সিলেটের অন্যান্য বন্ধ হয়ে যাওয়া পাথর কোয়ারীগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি এবং পরিবেশ কী পর্যায়ে রয়েছে তা দেখার জন্য আবারো সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবগুলো পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করছেন। এরই আলোকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শনে আসেন।
পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা না বললেও, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানান, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী যেহেতু দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে এবং কোয়ারী এলাকায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর জব্দ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেহেতু জব্দকৃত পাথর পুণরায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি সহ কোয়ারী এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট পরিদর্শনকারী কর্মকর্তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠাবেন বলে জানতে পেরেছি।