মাধবপুরে বীর নিবাস নির্মাণে ধীরগতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ৯:৪২:৪০ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৪২টি বীর নিবাস নির্মাণে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। কাজের গতি কমে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে হতাশা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদাররা বলছেন কাজ চলমান অবস্থায় কাজের অর্থ পেতে মাধবপুর হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল জমা দেওয়ার পর নানা অজুহাত দেখিয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কাজের টাকা ছাড় দিচ্ছেনা। এ কারণে বীরনিবাসের কাজ চলমান রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মোস্তাক আলী ভুঁইয়া নামে একজন ঠিকাদার জানান, বীর নিবাসের কাজ করার পর মাধবপুর হিসাবরক্ষণ অফিসে সব কাগজপত্র দিয়ে বিল জমা দেওয়ার পর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে বিল আটকে দিয়েছেন। বিল আটকে রাখার কারণে ঠিকাদাররা এখন অর্থ সংকটে পড়েছে।
অপর ঠিকাদার রানা মিয়া জানান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কাগজের অজুহাত দেখিয়ে বীরনিবাসের অর্থ ছাড় দিতে রাজি নয়। তার এহেন কর্মকান্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম খা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাসের কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে কিন্তু কাজ চলছে থেমে থেমে। কাজটি দ্রুত শেষ করা হলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের স্বপ্নের নিবাসে তাড়াতাড়ি উঠতে পারবে।
মাধবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূর মামুন জানান, ঠিকাদাররা কাজ করার পর যাচাই বাছাই করে কাজের মান দেখে অর্থ ছাড় দিতে সব কাগজপত্র দিয়ে হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল পাঠানোর পরও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঠিকাদারদের বিল ছাড় দিতে বিলম্ব করছেন। এ কারণে বীরনিবাস নির্মাণে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। একটি বীর নিবাসে সরকারি বরাদ্দ রয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, ভ্যাট, আয়কর, চালান কপি, জামানতসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ঘাটতি রয়েছে। কাগজপত্রে অসম্পূর্ণ থাকায় বিল ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ঠিকাদাররা মনগড়া অভিযোগ করছে। কাগজপত্র সঠিক পেলে বিল ছাড় দিতে কোন আপত্তি নেই।