ভাদ্রের তালপাকা গরম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ৮:২১:০০ অপরাহ্ন
# সিলেটে তাপমাত্রা ৩৭
স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র দুইদিন হলো ভাদ্র মাস শুরু হয়েছে। দুইদিন থেকে নেই বৃষ্টিও। ফলে শরৎকাল শুরু হয়েছে ‘তালপাকা গরমের’ উত্তাপ দিয়ে। এতে খাঁ খাঁ করছে প্রকৃতি, পুড়ছে জনজীবন। ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু এই শরৎ। এই ঋতুতে সকালে কাশফুল পদ্ম, শালুক প্রভৃতি ফুল ফোটে। দুপুরে তালপাকা গোমট গরম পড়ে। বিকালে আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কবিগুরুর ভাষায় : আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা-/নবীন ধানের মঞ্জুরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।/এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,/এসো নির্মল নীলপথে…। একই সময় মিষ্টি ঘ্রাণ নিয়ে শিউলি ফুল ফোটে। নজরুল লিখেছেন, ‘এসো শারদপ্রাতের পথিক এসো শিউলি-বিছানো পথে।’ এভাবে কবিতায় গানে শরত বন্দনা হয়ে আসছে সব সময়। তবে ভাদ্রের গরম নিয়ে আছে আলাদা আলোচনা। ভাদ্রের বিখ্যাত ‘তালপাকা গরম’ সম্পর্কে বাঙালী মাত্রই অবগত। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন মোটামুটি অতিষ্ঠ উঠেছে। সকাল থেকেই কড়া রোদ আর কিছুক্ষণ পরপর লোডশেডিং অস্থির করে তুলেছে সবাইকে।
বৃহস্পতিবার সিলেটে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৭ কোঠায় (৩৬.৮) কিন্তু অনুভব ছিল ৪৬। এই অবস্থায় শরতের রূপে মুগ্ধ হওয়ার চেয়ে অস্বস্থিকর গরম থেকে বাঁচার চেষ্টায়ই ছিল নগরবাসীর মন। ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামার আগেই ঘামে গা ভিজে যাচ্ছিলো। পায়ে হাঁটলে জামা গায়ের সঙ্গে লেপ্টে যায়। বাইরে বের হওয়া মুখগুলো জলশূন্য ফুলদানিতে রাখা ফুলের পাপড়ির মতো। ঘরেও গরম। লম্বা সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্যান বন্ধ। এদিকে ১৬ আগস্ট থেকে বৃষ্টি কমে ২০ আগস্ট থেকে আবারও বাড়তে পারে বলে আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।