সিলেটের স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনে স্থবিরতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ৭:৩১:১৩ অপরাহ্ন
বন্ধ পাথর ও চুনাপাথর আমদানি
স্টাফ রিপোর্টার : কাস্টমস ডিউটি, শুল্ক কর ও আমদানী শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেটের সবকটি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে বোল্ডার পাথর ও চুনাপাথর আমদানি আমদানী বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার থেকে এ অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে অচল হয়ে পড়েছে সবকটি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। তবে কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হচ্ছে। একাধিক আমদানীকারকের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।
সিলেট বিভাগে ১৩টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার তামাবিল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতক উপজেলার ইছামতি ও চেলা স্টেশন দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়। গতকাল শুক্রবার সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে নিত্যদিনকার ব্যস্ততা দেখা যায়নি। ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে না আসেনি। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে সিলেটের প্রধান এই স্থলবন্দরটি।
এদিকে শুল্ক বাড়ানোর পর থেকে স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হননি। ফলে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, লাফার্জহোলসিম সিমেন্ট কোম্পানিকে সুবিধা দিতে এবং তাদের পরামর্শে এ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ডলার-সংকটে এনবিআরের এমন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী দাবি করে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে জানিয়েছেন।
সিলেটের তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রæপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করেছে। এ বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকেই মূলত অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, তারা বোল্ডারের ডিউটি ১২ ডলার এবং চুনাপাথরের ডিউটি সাড়ে ১২ ডলার নির্ধারণ করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি। বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে ভারতীয় মালামাল গ্রহণ করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।