ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০২৩, ৮:১০:০৬ অপরাহ্ন
ভাঙচুরের মামলায় ৪ জন জেলে
স্টাফ রিপোর্টার : রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসাধীন রোগীরা।
এ দিকে সৃষ্ট পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেমিনার কক্ষে বৈঠকে বসে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভ‚ঁইয়াসহ সিনিয়র চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন এবং সবাই সিদ্ধান্ত নেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি তাদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়, তবেই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার জানান, হাসপাতালে ২৩০ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মরত আছেন। সবাই কর্মবিরতিতে আছেন।
গত সোমবার বিকেলে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সুচিকিৎসা না পেয়ে ওই রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ওইদিন রাতেই হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রওশন হাবিব বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় পুলিশের হাতে আটক হওয়া রোগীর চার স্বজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার আব্দুল মালিক (৫৪), জুয়েল আহমদ (২৭), সাবেল আহমদ (২১) , জুয়েল আহমদ (২০) হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ, ইসিজি যন্ত্র, চেয়ার, টেবিলসহ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেছেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভ‚ঁইয়া বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।