জগন্নাথপুরে খেয়া নৌকায় যাতায়াতে জনভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ৭:১৬:২৪ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হঠাৎ করে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী-জনতা। সব সময় সেতুতে চলাচল করেছেন মানুষ। এখন হঠাৎ করে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে জনভোগান্তি বেড়েছে।
গত ২২ আগস্ট সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুর হয়ে ঢাকা আঞ্চলিক মহসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা এলাকায় স্থানীয় কাটা নদীর উপরে থাকা পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর এপ্রোচ অংশ ভেঙে সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক নদীতে পড়ে গেলে ২ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এ সড়কে যানবাহনসহ সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই দুর্ঘটনার পর থেকে জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ খেয়া নৌকাযোগে পারাপার হচ্ছেন। এখানে খেয়া নৌকা হিসেবে ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা চলাচল করছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নৌকাযোগে যাতায়াত করছেন। সেই সাথে পারাপার হচ্ছে ছোট যানবাহন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে সেতুর এপার ও ওপারে যানবাহন অবস্থান করছে। খেয়া নৌকা পার হয়ে মানুষ এসব যানবাহন দিয়ে চলাচল করছেন। এপারের যানবাহনের মাধ্যমে জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ও সিলেট লাইনে এবং ওপারের যানবাহনের মাধ্যমে রাণীগঞ্জ, সৈয়দপুর, আউশকান্দি লাইনে মানুষ যাতায়াত করছেন। বর্তমানে কাটা নদীতে খেয়া নৌকাই একমাত্র ভরসা।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীঘাটে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা রয়েছে। এসব নৌকায় টাকার বিনিময়ে নারী-পুরুষ জনতা নদী পারাপার হচ্ছেন। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে শিপন আহমদ, এলাইচ মিয়া, আবদুল কদ্দুছ সহ কয়েকজন জানান, এ সড়কে সব সময় গাড়ি দিয়ে চলাচল করেছি। এখন হঠাৎ করে খেয়া নৌকা চলাচল করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে নৌকা ছাড়ে না। নৌকায় ওঠা, গাদাগাদি করে বসা ও নদীর পার হলে আবার ওঠা নিয়ে অনেক কষ্ট হয়। তার উপর রয়েছে ঝুঁকি। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে চলাচল করতে হচ্ছে।