বায়ুদূষণে ২য় অবস্থানে ঢাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ৮:৫২:৪১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ এর মধ্যে ঘুরছে রাজধানী ঢাকা। ১৬৯ স্কোর নিয়ে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান শীর্ষ দুইয়ে। বায়ুর এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মঙ্গল ও বুধবার যথাক্রমে ১৭৪ এবং ১৮২ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল সবার শীর্ষে।
আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে ১৭৫ স্কোর নিয়ে অবস্থান করে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৬৯ স্কোর নিয়ে রাজধানী ঢাকার পর শীর্ষ তিনে ১৫৪ স্কোর নিয়ে ভিয়েতনামের হানোই। এছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে কাতারের দোহা এবং পাঁচ নম্বরে একই স্কোর নিয়ে অবস্থান করে ভারতের কলকাতা।
এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয়ে ১৪০ স্কোর নিয়ে ছিল ভারতের দিল্লি। পাশাপাশি ১৩৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষ ৭ নম্বরে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১২৬ স্কোর নিয়ে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে মালয়েশিয়ার কুচিং। এছাড়া ৯ নম্বরে ১১৭ স্কোর নিয়ে চীনের উহান এবং শীর্ষ ১০ আছে দেশটির অপর শহর সাংহাই, স্কোর ১০৫।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।