শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা সেপ্টেম্বরে, চূড়ান্ত ফল ডিসেম্বরে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ৮:৫৫:২৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : সেপ্টেম্বর মাসেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শুরু করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মাধ্যমে এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করবে সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শিগগির মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনটিআরসিএর বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান আগামী ডিসেম্বর মাসে অবসরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সংস্থাটি চাচ্ছে সাড়ে তিন বছর আগে শুরু হওয়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের কার্যক্রম তিনি অবসরে যাওয়ার আগেই শেষ করতে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের নিবন্ধন সনদ দিয়ে জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার পরিচালক মো. আবদুর রহমান বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই ১৭তম নিবন্ধনের সব কার্যক্রম শেষ করতে চাই। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।
কর্মকর্তারা বলছেন, মৌখিক পরীক্ষা শুরুর আগে ভাইভা বোর্ড গঠন করতে হবে। প্রচলিতভাবে আটটি ভাইভা বোর্ডগঠন করে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি করতে হবে। এ কাজগুলো শেষে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। সেপ্টেম্বর মাসেই মৌখিক পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা আছে।
গত বুধবার গভীর রাতে ১৭তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন প্রার্থী। লিখিত পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ের ১৯ হাজার ৯৫ জন, স্কুল পর্যায়-২ এর ২ হাজার ১০১ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৫ হাজার ৪৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হওয়ার জন্য নিবন্ধিত হতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন গ্রহণ শুরু করে এনটিআরসিএ। সে বছর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের কথা থাকলেও করোনা মহামারির থাবায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৫ জন প্রার্থী গত ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।