মালয়েশিয়ায় অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের বৈধতা শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:৩৮:১৪ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় চলছে অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের বৈধ করার প্রক্রিয়া। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশিদের পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
গত বুধবার কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর প্রথম সচিব মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, কুয়ালালামপুর সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। সেবাটি গ্রহণ করতে আগে থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়ায় চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতার লক্ষ্যে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লিঃ (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।সরাসরি পাসপোর্ট সেবা পেতে আগামি ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবাইকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন প্রদেশে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে হাইকমিশন।
সম্প্রতি ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জিম) মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত কঠোর শর্ত অনুযায়ী বৈধ এবং যোগ্য নিয়োগকর্তাদের দ্বারা নিযুক্ত বিদেশি কর্মীদের (অবৈধ অভিবাসী) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছিল। এ বছরের শুরুতে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অবৈধ অভিবাসীদের রিক্যালিব্রেশন প্ল্যান ২.০ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। সে দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফ উদ্দিন ইসমাইল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এ কর্মসুচির কেতাবী নাম ‘লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম’ এ অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যাতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারে সেই লক্ষ্যে পাসপোর্ট সেবা দিতে এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। যে সব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধুমাত্র তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে সরাসরি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। তাছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটি ও যথারীতি চালু থাকবে।