জাতীয় সংসদের বিল উত্থাপন :সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের আরেক ধাপ অগ্রগতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:০০:৩০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলটি উত্থাপনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও এর সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উক্ত অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন, ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পর্যটন অঞ্চলের অবকাঠামো ও স্থাপনাসমূহ টেকসই, দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটন বান্ধব নিশ্চিত করার লক্ষে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে এই বিলটি আনা হয়েছে।পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ২০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট সিলেটের উন্নয়নে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সেদিন এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সিডিএ বা কেডিএ অনুসরণে এটা সিলেটের উন্নয়নের জন্য সিডিএ করা হয়েছে যাতে সিলেটের সিটি কর্পোরেশন এলাকা বা পারিপার্শ্বিক এলাকার উন্নয়ন করা যায়।তিনি জানিয়েছিলেন, এটা সিলেট শহর বিশেষ করে এখন সিলেট শহর ও আশেপাশে বেশ কিছু খুবই অপরিকল্পিতভাবে অনেক বিল্ডিং বা বিভিন্ন নির্মাণ হচ্ছে। যার ফলে শহরের সৌন্দর্য ও যাতায়াত বা কনজেশনটা আনপ্ল্যানড হয়ে যাচ্ছে। সে জন্য সিলেট শহরকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ আইনটির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ গঠন কেন :সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, একটি এলাকায় সুশৃঙ্খল আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, যার ওপর ভিত্তি করে সেখানকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা চিহ্নিত করা হবে। খেলার মাঠ, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথায় হবে-তা মহাপরিকল্পনায় থাকবে।এদিকে বিভিন্ন সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করে মানুষের কোনো উপকার হয় না। বরং সরকারের ব্যয় বাড়ে। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে করতে বিক্ষিপ্ত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে অবকাঠামো গড়ে ওঠে।